স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চা
ভূমিকা: প্রাচীন গুহামানব যেদিন ঘরবাড়ি তৈরি করতে শিখেছে, সেদিন থেকেই স্থাপত্যশিল্পের সূত্রপাত ঘটেছে। স্থাপত্যশিল্প ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।
[1] স্থাপত্য নির্মাণ: অতীতে একসময় মূলত রাজা-মহারাজা ও ধনী ব্যক্তিরাই স্থাপত্য নির্মাণে আগ্রহ দেখাতেন। বর্তমান যুগে শাসকগোষ্ঠী ছাড়া অন্যান্য মানুষজনও স্থাপত্য নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত।
[2 ] স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চা: স্থাপত্য নির্মাণের প্রেক্ষাপট, শিল্পরীতি, পৃষ্ঠপোষকতা প্রভৃতি বিষয়গুলি আধুনিক ইতিহাসচর্চায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইউরোপ, ভারত তথা বাংলার বিভিন্ন যুগের স্থাপত্যগুলি সাম্প্রতিককালে ইতিহাসচর্চায় স্থান পেয়েছে।
[3] ভারতে চর্চার সূচনা: ভারতে উনবিংশ-বিংশ শতকে স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাসচর্চার সূত্রপাত ঘটে। এক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন আলেকজান্ডার কানিংহাম, পার্সি ব্রাউন, জে ফার্গুসন, ক্যাথরিন অ্যাশার প্রমুখ।
[ 4] বাংলার স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চা: বাংলার বিভিন্ন যুগের স্থাপত্যশিল্পের ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন গবেষক চর্চা করেছেন এবং করে চলেছেন। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জর্জ মিশেল-বিজয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়-শামসুন্নাহার লাভলী, ড. নাজিমুদ্দিন আহমেদ, রবিউল হুসাইন প্রমুখ।
উপসংহার: সামগ্রিক ইতিহাসের অংশরূপে স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চা আজ শুধু সংস্কৃতির ইতিহাসকেই তুলে ধরে না, অর্থনৈতিক ইতিহাসের নান দিকও উদ্ঘাটিত করে। পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিকল্পনারও আভাস মেলে স্থাপত্যের ইতিহাসচর্চায়।