যানবাহন-যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চা
ভূমিকা: যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রাচীনকাল থেকেই সভ্যতার অগ্রগতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে আসছে। প্রাচীনকালে চাকার আবিষ্কার থেকে শুরু করে হাল আমলের ইনটারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন এক নিরবচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। এই ব্যবস্থা বিভিন্ন দেশের ইতিহাসকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে।
[1] ইউরোপে প্রভাব: আধুনিক যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইউরোপের ইতিহাসকে যথেষ্ট প্রভাবিত করেছে। জাতীয় ঐক্য বৃদ্ধি, শিল্পবিপ্লব প্রভৃতি ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
[2] ভারতে প্রভাব: আধুনিক যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে ভারতের রেল, সড়ক, ডাক প্রভৃতি ব্যবস্থা দেশের বিভিন্নপ্রান্তের মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ও ঐক্য বৃদ্ধি করে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়েছে। এর দ্বারাই ব্রিটিশ শক্তি নির্বিচারে ভারতীয় অর্থসম্পদ লুণ্ঠন করেছে। আবার রেলপথ ব্যবহার করে ভারতে বিপ্লবী কার্যকলাপ, বিপ্লবীদের পলায়ন ইত্যাদিও সম্ভব হয়েছে।
[3] অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা: সাম্প্রতিককালে ইনটারনেট ব্যবস্থা সমগ্র বিশ্বে নিমেষে যোগাযোগ স্থাপন করার সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে আজ সমগ্র বিশ্ব যেন ঘরের দোরগোড়ায় চলে এসেছে। এখন যে-কোনো তথ্য বা খবর নিমেষে বিশ্বের যে-কোনো প্রান্তে পৌঁছে যাওয়ায় এর দ্বারা বিশ্ব-ইতিহাস যথেষ্ট প্রভাবিত হচ্ছে।
[ 4] যানবাহন-যোগাযোগ সংক্রান্ত ঐতিহাসিক গবেষণা: বিংশ শতকে যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ইতিহাসচর্চা যথেষ্ট বৃদ্ধি পায়। এই বিষয়ে জন আর্মস্ট্রং, ইয়ান কের, সুনীল কুমার মুন্সি, গৌতম চট্টোপাধ্যায়, আর আর ভাণ্ডারী প্রমুখ গবেষণা করেছেন।
[ 5] ইনটারনেট সংক্রান্ত ঐতিহাসিক গবেষণা: সম্প্রতি ইনটারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে নানা গবেষণার কাজ শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন প্রকাশ চক্রবর্তী, ফ্রেডরিখ কিটলার, নারায়ণ চন্দ্র বসাক, প্রশান্ত রায় প্রমুখ।
উপসংহার: সামগ্রিক বিচারে দেখা যায়, যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইতিহাসের গতিকে প্রভাবিত করেছে। যানবাহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ইতিহাসচর্চার অন্তর্ভুক্ত হয়ে ইতিহাসের অনেক দিককে তুলে ধরেছে।
ক্লিক করুন 👉👉👉👉 দশম শ্রেণির ইতিহাস এর সমস্ত অধ্যায় অনুযায়ী তার সব প্রশ্নের উত্তর